আমাদের মাদ্রাসা সম্পর্কে
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আম্মা বা'দ- সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি মুসলিম উম্মাহ। এ জাতি শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতির স্বকীয়তা হারিয়েছে অনেক আগেই। ভেঙ্গে চুরমার হয়েছে ঈমানী-আখলাকী বুনিয়াদ। বৃটিশোত্তর ভারতীয় উপমহাদেশ তার জলন্ত স্বাক্ষী। বহুমুখি সঙ্কটে নিপতিত হয় ইসলামের লালনভূমি বাংলাদেশ। ক্রমেই হারাতে থাকে ইসলামী মূল্যবোধ ও ঐতিহ্য। হুমকির মুখে পড়ে মুসলিম উম্মাহর নতুন প্রজন্ম। ষাটের দশক। ইসলাম ও সাধারণ শিক্ষার সমন্বয়ে একটি বাস্তবধর্মী শিক্ষা মিশনে আমুয়াকান্দা রাহমানিয়া কামিল মাদ্রাসার পথচলা শুরু হয়। পাঠদান শুরু হয় প্রাক-প্রাথমিক থেকে কামিল শ্রেণি পর্যন্ত। দাখিল ও আলিম শ্রেণিতে সাধারণ ও বিজ্ঞান বিভাগের পাশাপাশি কামিলে হাদীস এর সাথে যুক্ত হয় তাফসীর ও ফিক্হ বিভাগ। শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে ক্রমান্বয়ে জোরদার হয়েছে ইলমে ক্বিরাআত ও আরবী ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম। সময়োগযোগী আলিমে দ্বীন তৈরির জন্য গ্রহণ করা হয়েছে বিশেষ পদক্ষেপ। নিয়মিত ও সর্বাধিক ক্লাস, মাসিক ও সেমিস্টার পরীক্ষার মাধ্যমে নিবিড় পরিচর্যা এবং সহ-পাঠ কার্যক্রম ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা ও প্রতিভা বিকাশে রাখছে কার্যকর ভূমিকা। জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃতি, মাদ্রাসা বোর্ডও করেছে গৌরবান্বিত। আলহামদুলিল্লাহ!
পেশাগত জীবনে এর শিক্ষার্থীদের সফলতা জাতির মাঝে আশার সঞ্চার করেছে। দীর্ঘ পথ-পরিক্রমায় প্রতিবন্ধকতার সকল দেয়াল মাড়াতে মহান রবের অফুরন্ত রহমত আমাদের একান্ত অবলম্বন। শিক্ষকমণ্ডলীর আন্তরিকতা, স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীদের দৃঢ় প্রত্যয় ও পরিশ্রম, অভিভাবকদের দু‘আ ও দেশে-বিদেশে সুধীদের ভালোবাসা আমাদের চলার পথে পাথেয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা-প্রশাসনের সকল বিভাগের আন্তরিক সহযোগিতা, সর্বোপরি আল্লাহর রহমত আমাদের পথচলাকে করেছে মসৃণ ও সুদৃঢ় । আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকল সীমাবদ্ধতা মাড়িয়ে সীরাতে মুস্তাকীমের উপর অটল থাকার তাওফীক দিন। আমীন!